খালেদার জামিন না হলে রাজপথ উত্তপ্ত করার হুঁশিয়ারি বিএনপির

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হলে রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ বলছে, আদালতের প্রতি আস্থা রাখতে হবে বিএনপিকে। রাজপথে আন্দোলনের সক্ষমতা তাদের নেই। আর পুলিশ বলছে, বিএনপি নেত্রীর জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেগম জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে একথা বলেন তারা। 

বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে গেল বৃহস্পতিবারও আদালতের এজলাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। হয় পাল্টাপাল্টি মিছিল। উচ্চ আদালতসহ দেশের সব আদলতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গত সোমবার। দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। এই প্রেক্ষাপটে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১২ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত এবং রাজনৈতি অঙ্গনে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা।

স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার জামিন না হলে রাজপথে উত্তাপ ছড়ানোর হুশিঁয়ারি বিএনপি’র।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রাজপথ উত্তপ্ত না হলে আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটা কঠিন হবে। তবুও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা আইন লঙ্ঘনের যে আচরণ দেখেছি, সেই আচরণের আমরা ক্ষুব্ধ।

আওয়ামী লীগ বলছে, আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আস্থা রাখতেই হবে বিএনপিকে। তাদের আন্দোলন করার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু বলেন, জামিন দিলে এক রকম ব্যবহার করবেন, আবার জামিন না দিলে আরেক রকম ব্যবহার করবেন, এটা বিএনপির নেতারা যে বক্তব্য রাখছেন তা সম্পূর্ণ অনুচিত। বিএনপির নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। এখন ওই সাহস নেই আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা।

এদিকে পুলিশ বলছে, আদালত প্রাঙ্গণসহ নগর জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা ভাঙচুর সহ্য করা হবে না।

রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শাহবাগ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও মৎস্য ভবনের সামনে ও প্রেসক্লাব ও আদালতের পুরো এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।

এছাড়া সহিংসতা-প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকবেও বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

আপনি আরও পড়তে পারেন